Home স্বাস্থ্য বিরলতম অস্ত্রোপচারে সন্তান প্রসব করিয়ে দেশকে তাক লাগিয়ে দিলো বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ

বিরলতম অস্ত্রোপচারে সন্তান প্রসব করিয়ে দেশকে তাক লাগিয়ে দিলো বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ

নিজস্ব প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩, পূর্ব বর্ধমান: বিরলতম অস্ত্রোপচার করে সন্তান প্রসব করিয়ে দেশকে তাক লাগিয়ে দিলো বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ এই বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ। বর্ধমান মেডিকেলের দাবি, “এই অস্ত্রোপচারের ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম”।

কেন এই দাবি? মেডিকেলের গাইনি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মলয় সরকারের দাবি, “জরায়ুতে একটি বাচ্ছার মৃত্যু হয়। তারপর অন্য একটি বাচ্ছার জন্ম দেওয়াটা খুবই ঝুঁকির হয়ে যায়। কারণ, এই সময়ে সংক্রমণের ব্যাপক ভয় থাকে। তারপর বাচ্ছাটির পরিনত হওয়ার সময়ও লাগে। তাই এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ”। আর এখানেই অসাধ্যসাধন করেছে মেডিক্যাল। ১১ জুলাই ভর্তি রোগী সফলভাবে সন্তান প্রসব করেন ১৪ নভেম্বর, শিশু দিবসের দিন। সিজার করে শিশুটিকে পৃথিবীর আলো দেখান চিকিৎসকেরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে,  “চলতি বছরের জুলাই মাসে একইভাবে টেস্ট টিউবে মা হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এবার তাঁর পেটে আসে যমজ বাচ্চা কিন্তু, অন্তঃস্বত্তার ১৭ সপ্তাহে জুলাই মাসের ১১ তারিখ রক্তক্ষরণ নিয়ে তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন গাইনি বিভাগে। পরদিন অর্থাৎ ১২ তারিখ একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন তিনি। এরপর পরস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়”।

পেটে দ্বিতীয় সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়েন চিকিৎসকেরা। কিন্তু, তাঁরা হাল ছাড়েননি। টানা ১২৫ দিন হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন তিনি। কঠোর পর্যবেক্ষণে রাখা হয় তাঁকে। এরপর ১২৬ দিনের মাথায়, মঙ্গলবার তিনি যমজ বাচ্ছার দ্বিতীয়টির জন্ম দেন। বাচ্ছাটির ওজন ২ কেজী ৯০৬ গ্রাম। মা এবং বাচ্চা দুজনেই সুস্থ রয়েছে। এই অস্ত্রোপচারের গোটা প্রক্রিয়ায়টি ১০ জন চিকিৎসকদের একটি দল করেন, বলে জানান হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ।

Exit mobile version