Home সংস্কৃতি বর্ধমান শহরের পুজো কমটিগুলিকে চেক প্রদান, পুলিশের গাইড ম্যাপ প্রকাশ

বর্ধমান শহরের পুজো কমটিগুলিকে চেক প্রদান, পুলিশের গাইড ম্যাপ প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩, পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমানের পুজো কমিটি গুলির হাতে রাজ্য সরকার ঘোষিত অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। অনুদানের চেক প্রদানের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্ধমান শহরের পুজো গুলি নিয়ে একটি গাইড লাইন প্রকাশ করা হয়। মঙ্গলবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে পুজো কমিটি গুলির কর্মকর্তাদের হাতে চেক প্রদানের পাশাপাশি গাইড ম্যাপটি আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হয়।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টপাধ্যায়, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, পূর্ব বর্ধমানের জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামা প্রসন্ন লোহার, সহকারী সভাধিপতি গার্গী নাহা, বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারপার্সন কাকলী গুপ্ত তা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় সহ অন্যান্যরা। এদিন মঞ্চ থেকে জেলার ১২ টি পুজো কমিটির হাতে ৭০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার ৩০৫ টি পুজো কমিটিকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বর্ধমান জেলার পুজো গুলিকে নিয়ে গাইড ম্যাপ প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি পুজোর দিনগুলিতে মণ্ডপ পরিদর্শনের সময় শিশুদের জন্য চাইল্ড আইডেন্টিফিকেশন কার্ড চালু করা হয়েছে। বিধায়ক খোকন দাস জানান, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বছর পুজো কমিটি গুলিকে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই পরিমাণ আর্থিক সহায়তা বড় পূজো কমিটিগুলির কাছে কম মনে হলেও, অনেক পুজো কমিটি রয়েছে, বিশেষ করে মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটিগুলির কাছে এই সহায়তার মূল্য অনেকটাই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষ কি চায় তা বোঝেন। তাই এবছর আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বাড়িয়েছেন”।

img87058026733

অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার কল্যান সিংহ রায় জানান, “পুজোর মরশুমে সুষ্ঠুভাবে মণ্ডপ পরিদর্শনের জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গাইড ম্যাপ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলির মাধ্যমে এই ম্যাপ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি পুজোর সময় বর্ধমান শহর ও অন্যান্য এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে সহায়তা বুথ করা হবে। এই বুথগুলি থেকেই চাইল্ড আইডেন্টিফিকেশন কার্ড ও গাইড ম্যাপ পাবেন সাধারণ মানুষ।” প্রতিবছরের মত এবছরও পুজোর মরশুমে মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং সুষ্ঠুভাবে পুজোর দিনগুলি যাতে উপভোগ করা যায় তার জন্য কিছু বাধা নিষেধ আরোপ করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

Exit mobile version